বিট এবং কিউবিট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা, ডিজিটাল থেকে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এর যাত্রা
বিট থেকে কিউবিট, ডিজিটাল থেকে কোয়ান্টাম কম্পিউটার
কম্পিউটার যাঁরা ব্যবহার করেন, তাঁদের কাছে 'বিট' শব্দটি অচেনা থাকার কথা নয়। একইভাবে কোয়ান্টাম কম্পিউটার নিয়ে যাঁরা খোঁজখবর রাখেন, তাঁদের কাছেও কিউবিট শব্দটি এতদিনে বহুল পরিচিত হয়ে যাওয়ার কথা। তবু জানার বাইরে কিছু অজানা বিষয় থেকে যেতেই পারে। চলুন, সেটাই খুঁজে দেখা যাক।
ডিজিটাল কম্পিউটার ও বিট
বর্তমানে প্রচলিত মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কম্পিউটার, অর্থাৎ আমাদের প্রচলিত আধুনিক কম্পিউটার গড়ে উঠেছে বাইনারি পদ্ধতিতে। অর্থাৎ এসব ডিজিটাল তথ্য ০ এবং ১-এর সিরিজে এনকোড করা হয়।
বিট (Bit) সম্পর্কে জানা জরুরি:
- বিট শব্দটি এসেছে বাইনারি ডিজিট (Binary Digit) শব্দটির আদ্যক্ষরের সংমিশ্রণে
- ১৯৪৮ সালে প্রথম গবেষণা প্রবন্ধে ব্যবহার করেন ক্লড শ্যানন
- জন টাকি ১৯৪৭ সালের ৯ জানুয়ারি প্রথম 'বিট' শব্দটি ব্যবহার করেন
কিউবিট-এর আবির্ভাব
বেঞ্জামিন শুমাহা, মার্কিন তাত্ত্বিক পদার্থবিদ, কিউবিট শব্দটি প্রথম চালু করেন। কিউবিট হল কোয়ান্টাম কম্পিউটিং-এর মৌলিক একক, যা পারম্পরিক বিট-এর চেয়ে অনেক বেশি জটিল ও শক্তিশালী।
বিট বনাম কিউবিট:
- বিট: শুধুমাত্র ০ অথবা ১ অবস্থায় থাকতে পারে
- কিউবিট: একই সময়ে ০ এবং ১ উভয় অবস্থায় থাকতে পারে (সুপারপোজিশন)
ভবিষ্যতের দিকে
কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রযুক্তি ক্রমশ উন্নত হচ্ছে। এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে জটিল সমস্যা সমাধানে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেবে বলে আশা করা যায়।
Comments
Leave a Comment